কম্পিউটার পেরিফেরালস
তথ্য কণিকা
- কম্পিউটারের যেসকল হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থেকে এর কর্মক্ষমতা ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি করে তাকে বলে- কম্পিউটার পেরিফেরালস।
- কম্পিউটার পেরিফেরালসের উদাহরণ- মাউস, কী-বোর্ড, প্রিন্টার, সিডি রম, ডিজিটাল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি।
- কম্পিউটারের সাথে পেরিফেরালস ডিভাইসগুলোর সংযোগ প্রক্রিয়াকে বলা হয়- ইন্টারফেস।
- কম্পিউটার পেরিফেরালসের প্রকারভেদ:
- অভ্যন্তরীণ (Internal): হার্ড-ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, সাউন্ড কার্ড, ভিডিও কার্ড ইত্যাদি।
- বাহ্যিক (External): মাউস, কী-বোর্ড, প্রিন্টার, মাইক্রোফোন, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি।
- বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটারের পেরিফেরালস বা পেরিফেরাল ডিভাইস:
- ইনপুট ডিভাইস: কী-বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, জয়স্টিক, কার্ড রিডার, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ইত্যাদি।
- আউটপুট ডিভাইস: মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, হেডফোন, প্লটার ইত্যাদি।
- স্টোরেজ ডিভাইস: হার্ড-ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি।
ইনপুট ডিভাইস
- কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে কম্পিউটারকে ঐ কাজের তথ্য প্রদান করতে হয়। কম্পিউটারকে দেয়া এ তথ্যই হচ্ছে-ইনপুট (Input)।
- কম্পিউটারে ইনপুট প্রদানের জন্য যে সব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাদেরকে বলা হয় ইনপুট ডিভাইস।
- ইনপুট যন্ত্রপাতি (Input Device) গ্রহণ করে- ডেটা (Data) এবং নির্দেশ (Instruction)।
- বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে-
- কী-বোর্ড (Key-board)
- মাউস (Mouse)
- স্ক্যানার (Scanner)
- লাইটপেন (Light pen)
- গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (Graphics Tablet)
- ওয়েবক্যাম (Webcam)
- জয়স্টিক (Joy-stick)
- ডিজিটাইজার (Digitizer)
- সেন্সর (Sensor)
- ওএমআর (OMR)
- ওসিআর (OCR)
- বারকোড রিডার (Barcode Reader)
- ম্যাগনেটিক ইংক ক্যারেক্টার রিডার (MICR)
1. কী-বোর্ড (Keyboard)
- বর্তমানে প্রচলিত কী-বোর্ডগুলোতে সর্বোচ্চ 'কী' থাকে- ১০৫টি।
- কী-বোর্ডকে বলা হয়- কনসোল (Console)
- কী-বোর্ড হলো- একটি ধীরগতির ইনপুট ব্যবস্থা।
- কী-বোর্ডে 'কী'-এর ধরনগুলো হলো- ফাংশন কী, আলফা নিউমেরিক কী, নিউমেরিক কী, মডিফায়ার কী এবং কার্সর মুভমেন্ট কী।
- কী-বোর্ডে 'ফাংশন কী' রয়েছে-১২টি।
- তথ্য সংযোজন, বিয়োজন বা নির্দেশ প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয়-ফাংশন কী।
- কী-বোর্ডের যে অংশ টাইপ রাইটারের মতো বর্ণ এবং অক্ষর অর্থাৎ অ্যালফাবেট (a-z) এবং নম্বর (0-9) দিয়ে সাজানো থাকে, সেই অংশের কীগুলোকে বলে-আলফা নিউমেরিক কী।
- কী-বোর্ডে সংখ্যাসূচক কী (Numeric Key) রয়েছে-১৭টি।
- কী-বোর্ডে মডিফায়ার কীগুলো হলো- শিফট (Shift), অপশন (Option), কমান্ড (Command), কন্ট্রোল (Control), অল্টার (Alt)।
- কী-বোর্ডে কার্সর মুভমেন্ট কী থাকে- ৪টি (←↓↑→)।
- অধিক ব্যবহৃত কী-বোর্ড বিন্যাস- QWERTY।
- কী-বোর্ডে প্রত্যেকটি 'কী'র একটি অনন্য কোড আছে যাকে বলা হয়- স্ক্যান কোড।
ফাংশন কী এর কাজ
- F1: হেল্প কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেকোনো প্রোগ্রামের হেল্প মেনু দেখতে এটি ব্যবহার করা হয়।
- F2: সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডার নির্বাচন করে এই কী চেপে ফাইলের নাম বদলানো যাবে।
- F3: মাইক্রোসফট উইন্ডোজসহ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয়। উইন্ডোজ কমান্ডে এটি চাপ দিলে আগের কমান্ডটির পুনরাবৃত্তি ঘটে।
- F4: এই কী দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের last action performed Repeat করা যায়। Alt + F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা যায় এবং Ctrl + F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা যায়।
- F5: এটা চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয়। এছাড়া যেকোনো পেজ রিফ্রেশ, পাওয়ার পয়েন্টে স্লাইড শো শুরু এবং বন্ধ করার জন্য এই বাটনটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে
- Fó: মাউসের কারসরকে ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবারে নিয়ে যেতে চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।
- F7: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করা হয়। Shift + F7 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার অভিধান চালু করা হয়।
- F8: অপারেটি সিস্টেম safe mood-এ চালু করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
- F9: কোয়ার্ক এক্সপ্রেসের মেজারমেন্ট টুলবার চালু করার জন্য এটি কাজে লাগে। পর্যায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
- F10: এটি চেপে ইন্টারনেট ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয়।
- F11: যেকোনো সক্রিয় উইন্ডো ফুলস্ক্রিন দেখতে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে এটি ব্যবহার করা হয়।
- F12: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো চালু করা হয়। কম্পিউটারে শুধু F12 চেপে বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলা মুডে যাওয়া যাবে। ল্যাপটপে fn + f12 চাপতে হবে।
বিশেষ (মডিফায়ার) কী এর কাজ
- Esc: এই কী এর সাহায্যে কোন নির্দেশ বাতিল করতে হয়।
- Tab: পর্যায় প্যারাগ্রাফ, কলাম, নম্বর, অনুচ্ছেদ শুরুর স্থান ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতের জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Caps Lock: এ কী ব্যবহার করে ইংরেজি ছোট হাতের ও বড় হাতের লেখা টাইপ করা হয়।
- Shift: একই ওয়ার্ডের মধ্যে বা শুরুতে বড় ও ছোট টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Ctrl: এই কী এর সাথে বিশেষ কী একসাথে চেপে কমান্ড দেয়া হয়। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য কীবোর্ডের ডানে ও বামে এই কী ২টি থাকে।
- Alt: বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিভিন্ন নির্দেশ দেয়ার জন্য এই কী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কমান্ড তৈরি করা যায়।
- Enter: কম্পিউটারকে কোনো নির্দেশ দিয়ে তা কার্যকর করতে এই কী ব্যবহৃত হয়। লেখা লেখির জন্য নতুন প্যারা তৈরি করতেও এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Pause Break: কম্পিউটারে কোনো লেখা যদি দ্রুত গতির জন্য পড়তে অসুবিধা হয় তা হলে এই কী চেপে তা পড়া যায়।
- Print Screen: কম্পিউটারের পর্দার দৃশ্যত যা কিছু থাকে তা সব প্রিন্ট করতে চাইলে এই কী ব্যবহার করতে হয়।
- Delete: কোনো বাক্য, অর বা কোনো লেখাকে মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার কা হয়।
- Home: এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে পাতার প্রথমে আনা হয়।
- End: এই কী চাপলে কার্সর বা পয়েন্টার যেখানেই থাকুক না কেন টেক্স বা পাতার শেষে চলে আসবে।
- Page Up: এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
- Page Down : এই কী ব্যবহার করে কার্সরকে নীচের দিকে নামাতে হয়।
- Insert: কোনো লেখার মাঝে কোনো কিছু লিখলে তা সাধারণত লেখার ডান দিকে লেখা হয়, কিন্তু এই কী চেপে লিখলে তা পূর্ববর্তী বর্ণের উপরে ওভার রাইটিং হয়। কাজ শেষে আবার এই কী চাপলে তা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।
- Back Space: কোনো লেখার পিছনের অংশ মুছে ফেলতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Space Bar: কী বোর্ডের কীগুলোর মধ্যে এই কী টি সবচেয়ে লম্বা কোনো বাক্য লেখার সময় শব্দগুলোর মাঝে ফাঁকা করার জন্য এই কী ব্যবহার করা হয়।
- Num Look: এই কী চাপা থাকলে ডান দিকের কী গুলো চালু হয়।
2. মাউস (Mouse)
- হাত নিয়ন্ত্রিত একটি ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে- মাউস (Mouse)।
- মাউস এ সাধারণত বাটন থাকে- ২ বা ৩টি।
- মাইক্রো মাউস হলো- দুটো ধাতব চাকা লাগানো প্লাস্টিকের বাক্স।
- মাউস আবিষ্কার করেন- ডগলাস এঞ্জেলবার্ট (১৯৬৩ সালে)।
- মাউস সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়- মেকিন্টোস কম্পিউটারে (১৯৮৪ সালে)।
- মাউস হলো- হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ইঁদুর সদৃশ একটি পয়েন্টিং ডিভাইস।
- কোনো ছবি, আইকন বা উইন্ডোকে সিলেক্ট করে মাউসের বাম বাটন চেপে ধরে টেনে আনাকে বলা হয়- ড্র্যাগ বা ড্র্যাগিং।
3. স্ক্যানার (Scanner)
- স্ক্যানার হলো- একটি আধুনিকতম ইনপুট যন্ত্র।
- স্ক্যানারের সাহায্যে-ছবি, লেখা ইত্যাদি সরাসরি কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়।
- আমাদের দেশে যে সকল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয় সে সকল স্ক্যানার সাধারণত পরিচিত ফ্লাটব্লেড অপটিক্যাল স্ক্যানার হিসেবে।
- মুদ্রণ/অফিসের কাজে ব্যবহৃত Scanner হলো- Page scanner বা Handheld scanner।
- Scanner-এর সাহায্যে কম্পিউটারে ছবি গ্রহণ এবং কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত একটি সফটওয়্যার হলো- Adobe Photoshop।
- Optical Scanner হিসেবে পরিচিত- OMR (Optical Mark Reader), OCR (Optical Character Reader)।
4. লাইট পেন (Light Pen)
- লাইট পেন হলো- একটি ইনপুট ডিভাইস যা আলোক সংবেদন বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে সিআরটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত লেখা পড়তে পারে।
- VDU-এর পর্দায় ছবি আঁকা যায়- Light pen ব্যবহার করে।
- Light pen-এর মাথার light sensor-আলো অনুভব করতে পারে।
- লাইট পেন দেখতে- অনেকটা কলমের মতো, এজন্য এটির নাম দেয়া হয়েছে লাইট পেন।
5. গ্রাফিক্স ট্যাবলেট (Graphics Tablet)
- গ্রাফিক্স ট্যাবলেট হলো- কার্যত মাউসের বিকল্প যন্ত্র।
- গ্রাফিক্স ট্যাবলেট দেখতে- অনেকটা পেন্সিলের স্লেটের মতো।
- বিশেষ কলম দিয়ে প্লেট বা প্যাডের উপরে ছবি বা পেন অলংকরণের কাজ করা যায়-গ্রাফিক্স ট্যাবলেট দিয়ে।
- গ্রাফিক্স ট্যাবলেট কোনো লেখা পর্দায় প্রেরণ করে x ও y স্থানাংক হিসেবে।
6. ওয়েবক্যাম (Webcam)
- ওয়েবক্যাম হলো- একটি ইনপুট ডিভাইস।
- ওয়েবক্যাম হলো- একটি ভিডিও ক্যামেরা; যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে রিয়েল টাইম ইমেজ বা ভিডিও আদান-প্রদান করে।
- ওয়েবক্যাম-এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটিং করা যায়।
- কম্পিউটার থেকে ভিডিও দেখা নিরাপত্তার কাজ করা যায় Webcam- এর মাধ্যমে।
7. জয়স্টিক (Joystick)
- জয়স্টিক একটি ইনপুট ডিভাইস।
- জয়স্টিক হলো- আয়তাকার বেসের উপর বসানো একটি দণ্ড।
- জয়স্টিক এর বেসের সাথে সংযোগ থাকে- কম্পিউটারে।
- জয়স্টিক ব্যবহৃত হয়- কম্পিউটার গেম খেলতে, ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটিতে ও বিভিন্ন ধরনের সিমুলেশনে।
8. ডিজিটাইজার (Digitizer)
- ডিজিটাইজার বোর্ড/ ডিজিটাইজিং টেবিল/ গ্রাফিক্স টেবিল এর আকার হলো- 9" x 12" থেকে 48" × 72"।
- ডিজিটাইজারের সাহায্যে কম্পিউটারে ইনপুট দেয়া যায়- বিভিন্ন গ্রাফ, ম্যাপ, বাড়ির নকশা ইত্যাদি।
- বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর তাদের মৌজাম্যাপগুলো সংরক্ষণ ও সম্পাদনা করেছে- ডিজিটাইজার ব্যবহার করে।
9. সেন্সর (Sensor)
- সেন্সর হলো- এমন এক ধরনের ডিভাইস যা কোনো সংকেতকে চিহ্নিত করতে পারে।
- সেন্সরগুলো- এক ধরনের ট্রান্সডিউসার।
- সেন্সর এর উদাহরণ- লাইট সেন্সর, সাউন্ড সেন্সর, হিট সেন্সর, বায়োমেট্রিক টাইম ক্লক সেন্সর ইত্যাদি।
10. ওএমআর (OMR- Optical Mark Recognition/Reader)
- OMR-এর মাধ্যমে উত্তরপত্র পরীক্ষা করলে- ভুল বা পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা থাকে না।
- OMR হলো- এমন একটি যন্ত্র যা পেন্সিল বা কালির দাগ (Mark) বুঝতে পারে।
- বিশেষ ব্যবস্থায় কালির দাগগুলো তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন ঘটায়- ফলে কম্পিউটার দাগের অস্তিত্ব বুঝতে পারে।
- কালির দাগ বোঝা যায়- কালির দাগের আলোর প্রতিফলন বিচার করে।
- পেন্সিলের দাগ বোঝা যায়- পেন্সিলের সীসের উপাদান গ্রাফাইটের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা বিচার করে।
- OMR ব্যবহৃত হয়- অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষা, বাজার সমীক্ষা জনগণনা ইত্যাদি কাজে।
11. ওসিআর (OCR-Optical Character Recognition/Reader)
- কোনো বর্ণ পড়ার সময় সেই বর্ণের গঠন অনুযায়ী কতকগুলো বৈদ্যুতিক সংকেত সৃষ্টি করে- OCR।
- OCR-এ আগে থেকেই কম্পিউটারে জমা থাকে প্রতিটি বর্ণের বৈদ্যুতিক সংকেত।
- হাতের লেখা স্পষ্ট হলে তা পড়তে পারে- OCR।
- OCR ব্যবহৃত হয়- চিঠির পিন-কোড, ইলেকট্রিক বিল, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম নোটিশ ইত্যাদি পড়ার জন্য।
12. বারকোড রিডার (Barcode Reader)
- বারকোড রিডার হলো- একটি অপটিক্যাল ইনপুট ডিভাইস।
- বারকোড বলতে- কম-বেশি চওড়াবিশিষ্ট পর্যায়ক্রমে কতগুলো বার বা রেখার সমাহারকে বোঝায়।
- বারকোড রিডারকে বলা হয়- ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড।
- কম্পিউটারের মেমোরিতে- প্রতিটি জিনিসের বারকোড নম্বর ও দাম রক্ষিত থাকে।
- বর্তমানে বাংলাদেশে বারকোড রিডার ব্যবহৃত হয়- স্বপ্ন, মিনা বাজার, অ্যাগোরা ইত্যাদি সুপার শপগুলোতে।
13. ম্যাগনেটিক ইংক ক্যারেক্টার রিডার (MICR)
- MICR-এর পূর্ণরূপ হলো- Magnetic Ink Character Recognition (Reader)।
- ব্যাংকের চেকের চেক নম্বর লেখা ও পড়া হয়- MICR পদ্ধতিতে।
- MICR কাজ করে- ফেরোসোফেরিক অক্সাইডযুক্ত কালির সাহায্যে।
- MICR কোনো বর্ণ বুঝতে পারে- তড়িৎ প্রবাহের মান থেকে।
- MICR-এ ব্যবহৃত চৌম্বক কালির বর্ণ 2টি হলো- EI3B ও CMC7।
আউটপুট ডিভাইস
- কোনো কিছু প্রক্রিয়াকরণের পর যেসকল যন্ত্রের সাহায্যে ফল পাওয়া যায়, সেসকল যন্ত্রকে বলা হয়- আউটপুট ডিভাইস।
- বহুল ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো-
- মনিটর (Monitor)
- প্রিন্টার (Printer)
- প্লটার (Plotter)
- প্রজেক্টর (Projector)
- স্পিকার (Speaker)
- হেডফোন (Headphone)
- ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট (Visual Display Unit)
- ফিল্ম রেকর্ডার (Film Recorder)
- মাইক্রোফিশ (Microfiche)
1. মনিটর (Monitor)
- টেলিভিশনের মতো দেখতে কম্পিউটার ব্যবস্থার অংশটিকে বলা হয়- মনিটর।
- মনিটরের কাজ হলো- লেখা ও ছবি দেখানো।
- সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস হলো- মনিটর।
- মনিটর সাধারণত হয়ে থাকে- তিন ধরনের। যথা:
- সিআরটি মনিটর- (CRT Monitor)
- এলসিডি মনিটর- (LCD Monitor)
- এলইডি মনিটর- (LED Monitor)
- CRT-এর পূর্ণরূপ হলো- Cathode Ray Tube |
- ক্যাথোড রে টিউবযুক্ত মনিটরকে বলা হয়- সিআরটি মনিটর।
- LCD-এর পূর্ণরূপ হলো- Liquid Crystal Display 1
- ক্যালকুলেটর কিংবা ডিজিটাল ঘড়িতে ব্যবহৃত হয়- এলসিডি ডিসপ্লে।
- LED-এর পূর্ণরূপ হলো- Light Emitting Diode 1
- মনিটরের পর্দায় কোনো ছবি, লেখা বা টেক্সট প্রদর্শনের জন্য কম্পিউটার একটি ইন্টারফেস ব্যবহার করে, যাকে বলা হয়- ভিডিও কন্ট্রোলার।
- কতগুলো জনপ্রিয় ভিডিও কন্ট্রোলার হলো-
- VGA (Video Graphics Array)
- SVGA (Super Video Graphics Array)
- XGA (Extended Graphics Array)
- কম্পিউটার মনিটরে তথ্য প্রদর্শনের ক্ষুদ্রতম একক- পিক্সেল।
- পিকচার ইলিমেন্ট (Picture Element)-এর সংক্ষিপ্ত রূপ- পিক্সেল (Pixel)।
- ডিসপ্লে পর্দা বা স্ক্রীনে প্রদর্শিত ছবির সূক্ষ্মতাকে বলে- রেজুলেশন।
- রিফ্রেস রেট (Refresh rate) হলো- পিক্সেলের উজ্জ্বলতা ঠিক রাখার জন্য প্রতি সেকেন্ডে পিক্সেলগুলো কতবার রিচার্জ হয় তার সংখ্যা।
- Refresh rate-কে প্রকাশ করা হয়- হার্টজ এককে।
2. প্রিন্টার (Printer)
- যে যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফল কাগজে ছাপানো যায়, তাকে বলা হয়- প্রিন্টার।
- প্রিন্টারের মান কী রকম হবে তা নির্ভর করে- প্রিন্টারের রেজুলেশনের উপর।
- প্রিন্টারের রেজুলেশন পরিমাপক একক হলো- ডিপিআই (DPI)।
- DPI-এর পূর্ণরূপ হলো- Dots Per Inch।
- প্রিন্টার হলো-একটি অফ লাইন ডিভাইস।
- Printer প্রধানত: ২ প্রকার। যথা- Impact Printer এবং Non-impact Printer
- Impact Printer প্রধানত: ২ প্রকার। যথা- Serial Printer এবং Line Printer ইত্যাদি।
- Non-impact Printer গুলো হলো- Laser printer, Inkjet printer, Thermal printer।
- আয়তাকারে সাজানো কতগুলো বিন্দুকে বলে- ডট ম্যাট্রিক্স।
- ডট ম্যাট্রিক্সের গতি পরিমাপক একক হলো- CPS (Character Per Second) ।
- সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রিন্টার হলো- লেজার প্রিন্টার।
- লেজার প্রিন্টারে কাগজে লেখা ফুটিয়ে তোলা হয়- লেজার রশ্মির সাহায্যে।
- লেজার রশ্মি সাধারণত ব্যবহৃত হয়- ডেস্কটপ পাবলিশিং এর কাজে এবং অফিস আদালতে।
- লেজার প্রিন্টারকে বলা হয়- পেজ প্রিন্টার।
- যে প্রিন্টারে প্রিন্টারহেড যে কাগজে ছাপা হয় তাকে বলে- ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার।
- লাইন প্রিন্টারে প্রতি বারে ছাপানো হয়- এক লাইন।
- ২ প্রকার লাইন প্রিন্টার হলো- চেইন ও ড্রাম প্রিন্টার।
- টাইপ রাইটারের মতো প্রতিবারে একটি বর্ণ ছাপা হয়- সিরিয়াল প্রিন্টারে।
- সিরিয়াল প্রিন্টার ২ প্রকার যথা: Dot matrix & Daisy wheel Printer।
- নোজল দিয়ে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত তরল কালি থাকে- Inkjet Printer-এ।
- জনপ্রিয় কয়েকটি Inkjet Printer হলো- Epson, Canon, HP Deskjet, Bubble Jet ইত্যাদি।
- জনপ্রিয় Laser Printer গুলো হলো- HP Laserjet, Canon LBP, Samsung ML ইত্যাদি।
3. প্লটার (Plotter)
- প্লটারের সাহায্যে ছবি বা গ্রাফ আউটপুট পাওয়া।
- অনুভূমিকভাবে কাগজ স্থির হয়ে থাকে- ফ্ল্যাট বেড প্লটারের উপর।
- সফটওয়ারের নির্দেশমত প্লটারে প্রিন্ট হয়- Pen-এর সাহায্যে।
- স্থাপত্য, প্রকৌশল, নকশা এবং মানচিত্র অংকনের কাজে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়- প্লটার।
- ১৪ ইঞ্চির বেশি চওড়া কাগজে প্রিন্ট নেয়ার জন্য উপযোগী হচ্ছে- প্লটার।
- প্লটারের সাহায্যে আঁকা যায়- বাড়ি, সেতু ইত্যাদির প্ল্যান; যন্ত্রের গঠনের চিত্র, ম্যাপ প্রভৃতি।
- প্লটার হলো- এক ধরনের প্রিন্টার।
- প্লটারকে ভাগ করা যায়- দুভাগে। যথা: ফ্লাটবেড প্লটার (Flat Bed Plotter) ও ড্রাম প্লটার (Drum Plotter)।
4. প্রজেক্টর (Projector)
- প্রজেক্টর হলো- একটি ইলেকট্রো অপটিক্যাল যন্ত্র।
- প্রজেক্টর এর মাধ্যমে- কম্পিউটারের কোনো তথ্য, ছবি, ভিডিও বড় স্ক্রিনে উপস্থাপন করা যায়।
- বিভিন্ন সভা সেমিনার, ক্লাসরুম, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়- মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর।
ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস
- ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসগুলো হলো- মডেম, টাচস্ক্রিন, ডিজিটাল ক্যামেরা, নেটওয়ার্ক কার্ড, স্মার্ট হ্যান্ডসেট, ফ্যাক্স, অডিও বা সাউন্ড কার্ড, ডিভিডি/সিডি, মাল্টি-ফাংশন ডিভাইস।
- বিভিন্ন ধরনের ইনপুট-আউটপুট কার্ড হলো- TV Tuner Card, Modem Fax Card, Touch Screen 1
- হালকা কিন্তু অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন স্টোরেজ ডিভাইস হলো- Solid - State Drive/Device (SSD)।
- SSD (Solid State Drive/Device)-এ ডাটা সংরক্ষিত হয়- ফ্লাশ মেমোরির সাহায্যে।
- বর্তমানে Hard Disk-এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়- SSD।
- Memory Card এক ধরনের- Flash Memory।
- Memory Card-এর ব্যান্ডউইডথ হলো- (1MBps-20 MBps)।
- Pendrive-এর bandwidth হলো- (12 MBps-480 MBps)।
- Pendrive-এর ধারণক্ষমতা হলো- (32 MB-2TB)।
ইনপুট-আউটপুট (Input-Output) কার্ড
- I/O Card হলো- এক ধরনের ইলেক্ট্রনিক সার্কিট বোর্ড।
- টেলিভিশন দেখার জন্য ব্যবহৃত কার্ড হচ্ছে- TV Card।
- কম্পিউটারের সাহায্যে মডেম ও ফ্যাক্স যন্ত্রের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়- Modem Fax Card।
- কার্ড সংযুক্ত করার স্লট দুটি হলো- ISA (Industry Standard Architecture) Slot ও PCI Slot।
ইনপুট-আউটপুট ইন্টারফেস (I/O Interface)
- কম্পিউটারের সঙ্গে পেরিফেরিয়াল ডিভাইসগুলোর সংযোগের প্রক্রিয়াকে বলে- ইন্টারফেস।
- CPU ও বিভিন্ন I/O ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ প্রক্রিয়াকে বলে- I/O ইন্টারফেস।
- CPU-এর সাথে যুক্ত থাকে বাস, এই 1/0 বাসের সাথে যুক্ত থাকে সব ইন্টারফেস।
- সাধারণভাবে কোনো ডিজিটাল ব্যবস্থার ২ অংশের মধ্যে যে লজিক সার্কিট সংযোগ করে তাকে বলে- ইন্টারফেস।
- Input device থেকে CPU তে ডেটা পাঠানো হলো- ইন্টারফেসের কাজ।
- ইন্টারফেসে বিদ্যমান- কতগুলো রেজিস্টার, ডিকোডার, কন্ট্রোল সার্কিট, স্ট্যাটাস রেজিস্টার ইত্যাদি।
- ইন্টারফেস রেজিস্টারকে বলে- ইনপুট-আউটপুট রেজিস্টার।
স্ক্যাজি (SCSI) ইন্টারফেস
- SCSI-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে-Small Computer System Interface ।
- SCSI হলো- ANSI (American National Standard Institute) কর্তৃক সংজ্ঞায়িত শিল্পমান ইন্টারফেস।
- SCSI (স্ক্যাজি) ডিভাইসগুলো ডেটা আদান-প্রদান করে- প্যারালাল কমিউনিকেশন পদ্ধতি।
- SCSI (স্ক্যাজি) ডিভাইসগুলো যে পোর্টে সংযুক্ত থাকে তাকে বলে- প্যারালাল কমিউনিকেশন পদ্ধতি।
- SCSI (স্ক্যাজি) পোর্টে উচ্চগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়- Hard disk, Tape Backup System, Printer, CD-ROM ইত্যাদি ডিভাইস যুক্ত করে।
- সাম্প্রতিক জনপ্রিয় দুটি ইন্টারফেসকে বলে- ফায়ারওয়্যার ও USB বাস।
- মেকিন্টোস প্লাটফর্মে জনপ্রিয় ইন্টারফেস হলো- ফায়ারওয়্যার।
- পিসি এবং মেকিন্টোস উভয় প্লাটফর্মে জনপ্রিয় ইন্টারফেস হলো-USB (Universal Serial Bus)।